ত্রিভুজ ছাড়া অন্য কোন আকৃতি কারো জানা না থাকলে সবকিছু সে ত্রিভুজের মাধ্যমেই বিচার করবে।
তার সামনে যদি একটা সামান্তরিক আনা হয় তবে সে সেই সামান্তরিকের কোনাকুনিভাবে আরো একটি বা দুটি রেখা যোগ করে দুটি বা চারটি ত্রিভুজ মনে করবে।
সেভাবে অন্য যে কোন ত্রিভুজ তার সামনে আনলেও তার একই মানদণ্ডে হিসেব আসবে।
এভাবে বহুভুজ থেকে বৃত্ত সবকিছুই বিচার করবে সে ত্রিভুজের মাধ্যমেই!
সে যে হিসেব কষতে একেবারে পারবে না -এমনটা না।
কিন্তু যে ত্রিভুজ বাইরে চিন্তা করতে পারে, যে দেখেছে ত্রিভুজ ছাড়াও আরো অনেক আকৃতি হয়। যেই বিন্দু দিয়ে বাহু এবং বাহু দিয়ে ত্রিভুজ হয়েছে, সেই বিন্দু, বাহুর হাত ধরেই যে আরো অসংখ্য আকৃতি হয় – এটা যে দেখতে পায় তার কাছে জীবনের ছন্দটা অত্যন্ত আনন্দের।
তার কাছে জীবনটা কোন বোকা বাক্সের মধ্যে বন্দী নয়, জীবন অসীমের মাঝে অসীম।
জীবনের মাত্রা আজ তিনটি ভুজে।
ভাগ্য ভালো জীবনের আকৃতি আজ সংরক্ষণ নীতিতে যারা চলে তাদের কাছে জিম্মি, তা না হলে জীবনে আরো কিছু মাত্রা যোগ হত যাতে সংরক্ষণবাদে এবং বিস্তারবাদে ধরতো ক্ষুদ্রাহুতির ধ্বংসযজ্ঞ।