সংখ্যা

যে পথেই পিঁপড়েরা ছুটে দলে দলে
সে পথেরই গান তুমি গাও!
পিঁপড়ের বোধে গড়ো চেতনার মান!
সবুজ বলে, “কেন -আমারে ডুবাও?”

যে বলা হয়নি শোনা

আটকে যাওয়া শ্বাস
ভেসে আসা লাশ
-কিছু বলেছিল।
শ্মশানের চিতা
কবরের ব্যাপকতা
-কিছু বলেছিল।
হাসপাতালের সিলিন্ডার
অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ
-কিছু বলেছিল।
প্রিয় চোখে হাহাকার
অভাগার দুঃখভার
-কিছু বলেছিল।
কিছু বলেছিল –
আকাশ
বলেছিল –
বাতাস
বলেছিল –
নদী
বলেছিল –
বন
বলেছিল – মন!
আমরা কখনো সখনো খুব বধির!
কিছু কথা শুনতে পাই না, কিছু কাজে ধীর!

দূর হোক

অতঃপর অজ্ঞতা দূর হোক।
মূর্খতা দূর হোক।
ভণ্ডামি দূর হোক।
ক্ষতাবেগ দূর হোক।
সেরাভাব দূর হোক।
চারপাশ সুস্থ হোক।

(এখানে ‘ক্ষতাবেগ’ মানে বুঝিবেন ক্ষতিকর আবেগ এবং ‘সেরাভাব’ মানে ধরিবেন নিজেই সেরা এমন ভাব।)

বিঃদ্রঃ এখানে কাউকে জ্ঞান দিছি এমন ভুল ভাবনা ভাববেন না। উপরের ৬ টি বাক্যই ইচ্ছা বা প্রার্থনা সূচক বাক্য।

আপসোস

গত জন্মে পতঙ্গ হয়ে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়েছি বহুবার।
     পুড়েছি,মরেছি, বুঝতেই পারিনি ছলনা,
হায়,এ জন্মে আকার বদলালো ঠিকই
  আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভ্যাস কভু গেল না!

উৎসর্গঃ আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়া দ্বি-পদ সম্বলিত প্রাণিদের।

প্রার্থনা

কারো গন্তব্য নিকট বেলা!
কারো বেলায় অবহেলা!
সহেনা এই ভব খেলা
সাঙ্গ হোক তিক্ত লীলা
হায়, ভগবান! ফুলের বাগান
দাও না ফুটুক সকল কলি
আলো দেখুক আলো ছড়াক
মুগ্ধতা দিক বিশ্ব ভরাক
কেন ভাঙ্গো এই প্রতিমান
কলিতে ফুল নষ্ট করে?
রাতের ভিতর রাত দেখি রোজ
এই ভাবনায় দুঃখ পেয়ে!
অসময়ে সময় হলে
কে খুশি হয় ভালো বলে!
কে নেয় কাঁধে দুঃখ পাহাড়
যায় ভেসে রোজ গগনতলে?
বিধাতা তুমি উদার জানি
সবার মাঝেই উদার হও,
বাগান জুড়ে সব গাছেতেই
শেষ কলিটিও ফুটতে দাও।

সকলেই সুস্থ থাকুক,ভালো থাকুক, দীর্ঘ জীবন লাভ করুক।